সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ভারতীয় পাতার বিড়ি ও মদ। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত ঘেষা একটি উপজেলা। এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও শ্রমজীবী। জীবিকা অর্জনে প্রধান উপায় হচ্ছে শ্রম, কৃষি ও মৎস্য শিল্পের উপর। অত্র এলাকার প্রধান নদী জাদুকাটা ও ধোপাজান চলতি নদী। ওই নদীগুলো বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে ওই বেকার শ্রেণির মানুষরা বিকল্প আয়ের পথ হিসেবে অবৈধ চোরাচালান ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ছে। স্কুলপড়ুয়া ঝড়ে পড়া মধ্যবয়সী ছেলেদের ব্যবহার করে কিছু মধ্যসত্বভোগীরা তরুণ ও কিশোরদের বানাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন পথে- চিনাকান্দি, মাছিমপুর, রাজাপাড়া, ডলোড়া, পাহার বিলাশ ইত্যাদি সীমানা দিয়ে রাতের আধারে ভারতীয় পণ্য অবৈধভাবে প্রবেশ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায়।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন- ধনপুর, ফতেপুর, বাদাঘাট (দ.), পলাশ ও সলুকাবাদের ছোট বড় হাট-বাজার ও পয়েন্টের পান দোকানে চাইলেই পাওয়া যায় ভারতীয় বিড়ি, মদসহ আর ও অনেক অবৈধ পণ্য।
উপজেলার অনেক জায়গায় সন্ধা হলে হাত বাড়ালেই পাবেন মদ ও ভারতীয় পাতার বিড়ি।
চিনাকান্দি বাজারের ভাসমান ব্যবসায়ী মানিক মিয়া জানান, আগে ভারতীয় পাতার বিড়ি পাইতে অনেক কষ্ট হত এখন আর সেই কষ্ট হয় না। তিনি আরও জানান, মাছিমপুর, চিনাকান্দি, মথুর কান্দি, কাইতকোনা, কাশিপুর, ডলুরা, মহকোড়া, আনন্দ বাজার, কুড়ের পার, তরঙ্গীয়া, চরগাও, রহিমপুর, পুরান গাঁও, ইত্যাদি গ্রামে ভারতীয় বিড়ি বিক্রেতার সিন্ডিকেট টিম খুবই শক্ত, প্রতিটি ছোট ছোট হাট-বাজারে এর রয়েছে নিজস্ব ডিলার, সকলেই সব কিছু জানে, কিন্তু প্রতিবাদ করার সাহস নেই কারও।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. মো. ছবাব মিয়া জানান, এসব মাদক চোরা চলান ও মাদক সেবন বন্ধে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর দৃষ্টি রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে মাদক ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। সেই সাথে দেশীয় পণ্যর উপর বিশ্বাস বাড়াইতে হবে। আমার দেশে যুব সমাজ মরণ ধংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নবাগত ওসি শ্যামল বণিক জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি জোরালো ভুমিকা পালন করব।
টিএইচ